( সৃজনশীল প্রশ্ন ) ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১ম অধ্যায়

৭ম শ্রেণী সমাজ ১ম অধ্যায় : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
বহরমপুর অঞ্চলের মানুষ তাদের চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
তিনি তার কাছের দুই একজন ছাড়া অন্যদের কোনো সুযোগ-সুবিধাই দিতেন না। অন্যরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
চেয়ারম্যান পেশিশক্তি প্রদর্শন, রক্তপাত ঘটিয়েও আন্দোলন স্তিমিত করতে পারেন নি।
জনগণের ঐক্য, সংগ্রামী চেতনা, আত্মত্যাগের কাছে তাঁর
ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উক্ত চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ক. ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন কে?
খ. ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ কেন পরাজিত হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. বহরমপুরের মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের কোন আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “বহরমপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি”— উক্তিটি পরীক্ষা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধানঃ
সমাধান : ক. ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা।
খ. ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ রাজনৈতিক দুর্বলতা ও অপশাসনের কারণে পরাজিত হয়।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর মুসলিম লীগের দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শোষণ ইত্যাদি বাড়তেই থাকে।এছাড়া দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব,
দুর্নীতি, পাকিস্তানের দুই অংশের বৈষম্য ইত্যাদি কারণেও ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের পরাজয় ঘটে।
গ. বহরমপুরের মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপের প্রতিবাদে পূর্ব-পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিত জনগণ
আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।
জেনারেল আইয়ুব খানের পতনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাতীয় ছাত্রফেডারেশন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সর্বদলীয় ‘ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে।
ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের এগারো দফা ও আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সম্মিলিত ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সরকার এই আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান
১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ শহিদ হন। আসাদ শহিদ হওয়ার পর এই আন্দোলন গণআন্দোলনে পরিণত হয়। আন্দোলনের তীব্রতায় ভীত হয়ে
এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ১৯৬৯ সালের ২৫শে মার্চ জেনারেল আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের উল্লিখিত তথ্যসমূহের সাথে বহরমপুরের মানুষের আন্দোলনের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই বলা যায়, এ এলাকার মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
ঘ. “বহরমপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি”— উক্তিটি সঠিক।
বহরমপুর অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তাদের চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং নিজেদের
অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এলাকার চেয়ারম্যান পেশিশক্তি প্রদর্শন এবং রক্তপাত ঘটিয়েও আন্দোলন দমন করতে ব্যর্থ হন।
জনগণের ঐক্য, সংগ্রামী চেতনা ও আত্মত্যাগের কাছে তার ক্ষমতা দূর্বল হয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তার স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে পূর্ব-পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিত জনগণ দুর্বার গণআন্দোলন শুরু করে।
জেনারেল আইয়ুব খান এই আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন শুরু করান। পুলিশের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ শহিদ হওয়ার পর এই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়।
আন্দোলনের তীব্রতায় ভীত হয়ে ১৯৬৯ সালের ২৫শে মার্চ জেনারেল আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বহরমপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ :
ঘটনা-১: ‘ক’ দেশে বিভিন্ন ভাষা-ভাষী লোকের বাস ছিল। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী একটি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারণ করে। এতে অন্য ভাষা-ভাষীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শাসকগণ সব ভাষাকেই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
ঘটনা-২: দাদা তার নাতি তৌহিদুলকে বললেন, তাঁর বাবা আনসারি সাহেব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁর দল জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করেন।
ক. কতজনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করা হয়?
খ. ছয় দফাকে বাংলার মানুষের মুক্তির দলিল বলা হয় কেন?
গ. ঘটনা-১: তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের কোন ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ঘটনা-২: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রতিচ্ছবি—মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান-২ :
ক. পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করা হয়।
খ. বাংলার মানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরায় ছয় দফাকে বাংলার মানুষের ‘মুক্তির দলিল’ বলা হয়।
ছয় দফা পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিকসহ সব ধরনের অধিকারের কথা তুলে ধরে। এ কর্মসূচি বাঙালির জাতীয়
চেতনামূলে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও তা বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাই এটিকে
বাংলার মানুষের মুক্তির দলিল বলা হয়।
গ. ঘটনা-১ তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইঙ্গিত বহন করে।
তদানীন্তন পাকিস্তানের সর্বমোট ছয় কোটি নব্বই লক্ষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাঙালি ছিল চার কোটি চল্লিশ লক্ষ। বাকি আড়াই কোটি মানুষের মাতৃভাষাও উর্দু ছিল না।
অথচ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ফলে পূর্ব-পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী জনগণ উর্দুর পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আন্দোলন শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সৃজনশীল প্রশ্ন
আন্দোলনের একপর্যায়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে বাধ্য হয়।
ঘটনা-১-এর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, ‘ক’ দেশে বিভিন্ন ভাষা-ভাষী লোকের বসবাস থাকা সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ভাষাকে
নির্ধারণ করে।
ফলে অন্য ভাষাভাষীরা আন্দোলন শুরু করে এবং আন্দোলনের একপর্যায়ে শাসকগণ সব ভাষাকেই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
ঘটনা-১-এর আন্দোলনটি ভাষাকেন্দ্রিক হওয়ার কারণেই এটি তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইঙ্গিত বহন করে।
ঘ. ঘটনা-২: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রতিচ্ছবি— বক্তব্যটি সঠিক।
১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির মধ্যে।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পর থেকেই গণরায়ের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য বারবার দাবি জানায়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিলে পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো তা বানচালের জন্য ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
ঘটনা-২-এ দাদা তার বাবা আনসারি সাহেব সম্পর্কে নাতিকে বলেন, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য আনসারি সাহেবের দল জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও শাসকগোষ্ঠী আনসারি সাহেবের দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে সময়ক্ষেপণ করেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, ঘটনা-২-এ বর্ণিত বিজয়ী দলের নিকট শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রক্রিয়ার অনুরূপ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :
জনাব রশীদ ইতিহাস বিষয়ের একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে অবহিত করছিলেন। তিনি বলেন,
আমাদের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে, ভাষাকে কেন্দ্র করে। সেই আন্দোলনের প্রেরণা আজও আমাদের যে কোনো বিপ্লবের শক্তি জোগায়।
ক. পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
খ. ৬ দফা ছিলো মূলত স্বায়ত্তশাসনের দাবি— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে কোন আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে? উক্ত আন্দোলনের কারণ কী ছিলো? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব রশীদের সর্বশেষ মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : জনাব শিকদার ‘ক’ রাষ্ট্রের একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি সর্বদাই জনগণের কথা চিন্তা করেন, জনগণও তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসে। স্বৈরাচারী গোষ্ঠী তাঁর এই জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাঁর নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে জনগণের ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে শাসকগোষ্ঠী মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। এভাবেই স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।
ক. যুক্তফ্রন্ট কবে গঠিত হয়?
খ. অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে লিখ ।
গ. উদ্দীপকে পাঠ্যবইয়ের কোন ঘটনার কথা চিত্রিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উক্ত শাসকগোষ্ঠীর ন্যায় আর কোন স্বৈরাচারী শাসকের পতন হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : কামাল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ পড়ে স্বাধীনতায় অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন একজন নেতা সম্পর্কে জানতে পারে।
সে নেতার বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল । এ মামলা ও ছাত্রদের আন্দোলনের ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারি।
ক. বঙ্গবন্ধু কবে ছয় দফা দাবি পেশ করেন?
খ. ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কেন দায়ের করা হয়?
গ. কামালের জানা ঘটনাটি ইতিহাসের কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. কামালের উপলব্ধির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ :
কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ পড়ে আকবর সাহেব জানতে পারে, দেশের দুই অংশের মধ্যে এক অংশের নেতার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিলে ছাত্ররা দফাভিত্তিক আন্দোলনে নামে। আকবর সাহেব মনে করে, ছাত্রদের এ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া সুদূর প্রসারী।
ক. বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি কোথায় পেশ করেন?
খ. আগরতলা মামলা করা হয় কেন?
গ. আকবর সাহেবের জানা ঘটনাটি বাংলার কোন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে আকবর সাহেবের মন্তব্যের যথার্থতা কী বলে তুমি মনে করো? বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : নূরজাহানপুর একটি ছোট ইউনিয়ন। এ এলাকার মানুষ তাদের চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিনি তার কাছের দুই একজন ছাড়া অন্যদের কোনো সুযোগ সুবিধাই দিতেন না।
অন্যরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান পেশিশক্তি প্রদর্শন, রক্তপাত ঘটিয়েও এ আন্দোলনকে স্তিমিত করতে পারেন নি। জনগণের ঐক্য, সংগ্রামী চেতনা, আত্মত্যাগের কাছে তাঁর ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উক্ত চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ক. ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন কে?
খ. ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ কেন পরাজিত হয়? ব্যাখ্যা কর।
গ. নূরজাহানপুরের মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের কোন আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “নূরজাহানপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি” – বিশ্লেষণ পরীক্ষা কর।
READ ALSO – বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র