শিক্ষা
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার : ৭ম শ্রেনী ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
আজগর সাহেবের ছেলে-মেয়েরা চাকরির সুবাদে তাদের পরিবার নিয়ে শহরে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বাস করেন। আজগর সাহেব স্ত্রী মারা যাবার পর তিনি একাই গ্রামে বাস করেন। অসুখ-বিসুখে তাকে দেখাশোনার কেউ নেই।
অপরদিকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জনাব হারুনের স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে। শারীরিক ও আর্থিকভাবে তিনি সামর্থহীন হয়ে পড়ায় নিজেকে খুব অবহেলিত ও অসহায় ভাবতে শুরু করেছেন।
ক. আমাদের দেশে কাদের প্রবীণ বলে গণ্য করা হয়?
খ. বাংলাদেশে নারী অধিকারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. আজগর সাহেব কোন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন?
ঘ. “হারুন সাহেব ও আজগর সাহেবের সমস্যার চিত্র ভিন্ন হলেও বর্তমান সময়ে এ ধরনের প্রবীণদের সমস্যাগুলো সমাজে বিদ্যমান সাধারণ সমস্যা।”- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান :
ক. আমাদের দেশে সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষকে প্রবীণ বলে গণ্য করা হয়।
খ. সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যাতে সমান ভূমিকা পালন করতে পারে এর জন্য নারী অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলো নারী।
সমাজের এই বৃহৎ অংশকে পেছনে ফেলে বা অধিকার বঞ্চিত করে কোনোভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কাজেই দেশসেবা, তথা রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নারী অধিকার একান্ত অপরিহার্য।
গ. উদ্দীপকের আজগর সাহেব প্রবীণ হিসেবে পারিবারিক সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও মানুষের অর্থনৈতিক জীবনধারার পরিবর্তনের ফলে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে গিয়ে ছোট ছোট পরিবারে পরিণত হচ্ছে।
৭ম শ্রেনী ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন
স্বামী-স্ত্রী ও নির্ভরশীল নিয়ে গঠিত এই পরিবার ব্যবস্থায় বৃদ্ধ বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়ির স্থান থাকছে না। তাদের দেখাশোনা বা অসুখ-বিসুখে সেবাযত্নের লোকের অভাব ঘটছে। ফলে তারা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন।
উদ্দীপকের আজগর সাহেবের ছেলে-মেয়েরা কাজের সুবাদে তার সাথে বসবাস করে না। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বৃদ্ধ বয়সে তিনি একা হয়ে পড়েছেন। তার দেখাশোনা করার মানুষ নেই।
আমাদের দেশের প্রবীণদের প্রায় সময়েই এ ধরনের সমস্যার পড়তে হয়। এগুলো প্রবীণদের পরিবারিক সমস্যার মধ্যে পড়ে।
ঘ. হারুন সাহেব ও আজগর সাহেবের সমস্যার চিত্র ভিন্ন হলেও বর্তমান সময়ে এ ধরনের প্রবীণদের সমস্যাগুলো সমাজে বিদ্যমান সাধারণ সমস্যা -উক্তিটি যথার্থ।
আমাদের সমাজে প্রবীণদের সাধারণত পারিবারিক, আর্থিক, শারীরিক, সামাজিক-সংস্কৃতিক, মনস্তাত্ত্বিক প্রভৃতি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে তাদের অনেকেই একা হয়ে পড়েন। অনেকে অর্থনৈতিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন।
স্বচ্ছলতার অভাবে অনেক সন্তান তার পিতামাতার ভরণপোষণ করতে ব্যর্থ হয়। আবার বৃদ্ধাবস্থায় প্রবীণেরা নানা ধরনের অসুখ বিসুখে ভোগে। এমনকি প্রয়োজনীয় সেবা ও চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হয়।
এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের অভাব ও অপসংস্কৃতির প্রভাবে প্রবীণদের সমাজে অবহেলিত ও হেয় করা হয়। পরিবারে ও সমাজে প্রবীণদের কোণঠাসা অবস্থা তাদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতার জন্ম দেয়।
প্রবীণ বয়সে স্মৃতি বিভ্রমও এক্ষেত্রে বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করে। উদ্দীপকের হারুন সাহেব ও আজগর সাহেব প্রবীণ অবস্থায় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
তাদের সমস্যায় ভিন্নতা থাকলেও বর্তমান সময়ের প্রবীণদের এই সমস্যাগুলো অপরিচিত নয়। প্রবীণরা প্রায় সময়েই এ ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েন।
অতএব বলা যায় যে, হারুন সাহেব ও আজগর সাহেবের সমস্যাগুলো একই সমস্যার দুটি ভিন্ন রূপ এবং এগুলো প্রবীণদের সাধারণ সমস্যা।
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন ২ :
জনাব তরফদার সাহেবের বয়স ৭০, বয়সের কারণে তিনি নানা রকম জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় তার ছেলের বাসায় আশ্রয় নেন।
কিন্তু তার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় তাঁর ছেলের পক্ষে খরচ বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তিনি অর্থের অভাবে চিকিৎসা শেষ না করেই জনাব তরফদার আবারো গ্রামে ফিরে আসেন।
ক. টর্নেডো কী?
খ. গ্রিনহাউস গ্যাস সম্পর্কে কী জান? লেখ।
গ. জনাব তরফদার কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জনাব তরফদারের মতে প্রবীণদের জন্য সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান :
ক. টর্নেডো এক ধরনের প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়।
খ. কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি গ্যাসকে একসাথে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। এ গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটায়।
বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডই সবচেয়ে বেশি দায়ী। বিদ্যুৎ উৎপাদন, যানবাহনের তেল ও গ্যাসের ধোঁয়া, ইটের ভাটা প্রভৃতি থেকে এ গ্যাস উৎপন্ন হয়।
গ. জনাব তরফদার সাহেব অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সাধারণত ৬০ বা ৬৫ বছর বয়সের অধিক বয়স্ক মানুষকে প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন বলা হয়। এ সকল মানুষ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আর্থিক ও শারীরিকভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
প্রবীণ ব্যক্তিদের আয়-রোজগারের সুযোগ না থাকায় এবং সঞ্চিত অর্থ ও সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ প্রবীণই অর্থনৈতিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন।
চিকিৎসা ও ভরণপোষণের জন্য তারা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অর্থাভাবে অনেক সময় তারা চিকিৎসা করতে পারেন না।
উদ্দীপকে জনাব তরফদার সাহেব ৭০ বছর বয়সী প্রবীণ।
অর্থনৈতিক ভাবে সন্তানের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তার সন্তানের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা শেষ না করেই তাকে গ্রামে ফিরতে হয়।
এটি প্রবীণদের অর্থনৈতিক সমস্যাকে ইঙ্গিত করে। তাই বলা যায় যে জনাব তরফদার সাহেবের সমস্যা প্রবীণদের অর্থনৈতিক সমস্যা।
ঘ. জনাব তরফদার সাহেবের মত প্রবীণদের নিরাপত্তায় সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রবীণরা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
৭ম শ্রেনী ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন
নিজের আত্মীয়-স্বজনের উপর নির্ভরশীল এ মানুষেরা প্রায়ই বঞ্চনা-অবহেলার শিকার হন। তাদের এ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রবীণদের আর্থিক নিরাপত্তা দানে সরকারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো অবসর ভাতা। সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অবসর গ্রহণ বা মৃত্যুবরণ করলে পেনশন পেয়ে থাকেন।
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ, অবহেলিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সারা দেশে সরকার বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আবার ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা না থাকায় সরকারের বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান কার্যক্রম থেকে বয়স্ক নারীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়, প্রবীণ ব্যক্তিদের আর্থিক নিরাপত্তা দানে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :
ঘটনা-১: রহিমা ইট ভাটায় কাজ করে। রহিমার মতো নারীরা সারাদিন কাজ করে ৪০০ টাকা মজুরি পেলেও পুরুষ শ্রমিকরা। সমপরিমাণ কাজ করে ৫০০ টাকা পায়।
ঘটনা-২ : বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে চাকরির বেতন, পদ-মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধার কোনো ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষকে আলাদা করে। দেখা হয় না।
ক. অধিকার কী?
খ. বাংলাদেশের প্রবীণদের কল্যাণে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থার কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।
গ. ঘটনা-১ এ কোন ধরনের সমস্যার চিত্র ফুটে উঠেছে?
ঘ. “রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন আমাদের পরিবার ও সমাজে ঘটাতে না পারলে আমাদের সমৃদ্ধি আসবে না।” উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান :
ক. অধিকার হলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত কতকগুলো সুযোগ সুবিধা যা ভোগের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে।
খ. বাংলাদেশের প্রবীণদের কল্যাণে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা হলো প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান। প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত।
প্রবীণদের কল্যাণে এ প্রতিষ্ঠানটি যেসব ভূমিকা রাখে তা হলো- স্বাস্থ্য সেবা দান, পুনর্বাসন, চিত্তবিনোদন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রভৃতি। তাছাড়া এ প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের জন্য পাঠাগারও স্থাপন করেছে।
গ. ঘটনা-১ এ নারীর প্রতি বৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠেছে। মানবাধিকার অনুযায়ী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা ও নারীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার বাঞ্ছনীয়।
তবুও আমাদের সমাজের প্রায় সর্বস্তরে এখনো নারীদের তাদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হয় না। অর্থনেতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক অধিকার থেকে তারা আজও অনেক বঞ্চিত। মেয়েরা আজও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় না।
বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের নির্যাতনের শিকার হয়। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ারও সুযোগ পায় না। এগুলো নারীর প্রতি বৈষম্যের জন্য হয়। ঘটনা-১ এ আমরা দেখি রহিমা পুরুষদের সমপরিমাণ পরিশ্রম করেও পুরুষদের তুলনায় কম পারিশ্রমিক পায়।
৭ম শ্রেনী ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন
তার মতো সমাজের অনেক নারী আজও এ ধরনের বৈষম্যের শিকার। বর্তমান সমাজে এখনো মেয়েরা বোঝা হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি একটি তীব্র সমস্যা।
ঘ. রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন আমাদের পরিবার ও সমাজে ঘটাতে না পারলে আমাদের সমৃদ্ধি আসবে না- উক্তিটির যথার্থতা রয়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকেই নারী।
Read Also – বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যাবস্থা
প্রতিষ্ঠান পরিচিতি – ভাটপিয়ারী উ্চ্চ বিদ্যালয়
অতএব দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে, প্রথমে সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার ও সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষদের পাশাপাশি নারী যেমন সংসার পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করেন, তেমনি সন্তান লালন-পালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও নারীকেই করতে হয়।
গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, প্রতিরক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই তারা দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন।
গোটা নারী সমাজকে যদি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চলাফেরা ও মতপ্রকাশের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তবে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
উদ্দীপকের ঘটনা— ২ এ আমরা দেখি, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে চাকরির বেতন, পদমর্যাদা ও সুযোগ কোনো ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষকে আলাদা করে দেখা হয় না।
তবে আমাদের সমাজের সর্বস্তরে এই দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায় না। অথচ দেশের সর্বাত্মক উন্নয়ন সাধনে এই বৈষম্যহীন আচরণ অত্যন্ত জরুরি।
সার্বিক আলোচনা থেকে তাই বলা যায়, নারীর প্রতি রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন পরিবার ও সমাজে ঘটানো গেলে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।