শিক্ষা
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ৭ম শ্রেনী ৬ ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
নির্বাচন জনগণ, রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানেন এবং তা দূর করার সুযোগ পান।
মোট কথা, নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যত জনগণ রাজনৈতিক সচেতনতা, রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং আমাদের সংস্কৃতি বিষয়ে বিশদভাবে জানতে পারেন।
ক. পার্বত্য অঞ্চলে কয়টি জেলা আছে?
খ. জাতীয় পর্যায়ে কয় ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং কী কী?
গ. সরাসরি নির্বাচনের যথার্থতা মূল্যায়ন কর এবং এটি সম্পর্কে তুমি কি জান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সু-প্রশাসন এবং দেশের কল্যাণ নির্ভর করে নির্বাচিত উপযুক্ত প্রার্থীর উপর”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান :
ক. পাবর্ত্য অঞ্চলে তিনটি জেলা আছে।
খ. বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণত তিন ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যা দেশব্যাপী জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে হয়।
অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও গণভোট।
গ. নির্বাচনের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা সরাসরি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নাগরিকেরা যখন সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তখন তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয়।
প্রত্যক্ষ নির্বাচনে জনগণ তাদের মতামত ও ভোটাধিকারের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে বলে গণতন্ত্রে এ ধরনের নির্বাচনের গুরুত্ব সর্বাধিক। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যরা প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার, যেমন- ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মেয়র জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।
উদ্দীপকে নির্বাচনের বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত, দুঃখ দুর্দশা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার প্রকাশ পায়।
এ উদ্দেশ্য পূরণে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বা সরাসরি নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। জনগণকে সরাসরি মত প্রকাশের সুযোগ করে দেয় বলে গণতন্ত্রে সরাসরি নির্বাচন যথার্থ
ঘ. সু-প্রশাসন ও দেশের কল্যাণ নির্ভর করে নির্বাচিত উপযুক্ত প্রার্থীর উপর উক্তিটির যথার্থতা রয়েছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে নীতি নির্ধারণ করেন বলে দেশ ও জাতির উন্নয়নে তাদের ভূমিকা ব্যাপক।
উদ্দীপকে নির্বাচনের বিভিন্ন উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যা একজন নির্বাচিত প্রার্থীর মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়।
একজন উপযুক্ত নির্বাচিত প্রতিনিধি দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি নিযুক্ত থাকেন।
তিনি আত্মসংযমী হয়ে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা, পক্ষপাতিত্ব থেকে
বিরত থাকেন । তিনি নিজের ও দলীয় স্বার্থপরতা থেকে বিরত থেকে রাষ্ট্রের সার্বিক মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।
একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির সঠিক কর্মকাণ্ডই হলো দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত। উপরের আলোচনা থেকে তাই বলা যায় যে, একজন উপযুক্ত প্রার্থীর উপরই সু-প্রশাসন ও দেশের কল্যাণ নির্ভর করে।
READ ALSO – বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরীক
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন ২ :
জনাব ‘A’ স্থানীয় একটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হবার জন্য তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার ধারণা এই পদের জন্য তিনিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী।
ক. আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি কী?
খ. ভোটারের যোগ্যতা বর্ণনা কর।
গ. জনাব ‘A’ কোন ধরনের আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে তুমি মনে কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
ঘ. জনাব ‘A’ -এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নিয়ম বিশ্লেষণ কর।
ক. আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো নির্বাচন।
খ. বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনে ভোটার হতে হলে একজন ব্যক্তির কতগুলো যোগ্যতা থাকতে হবে।
ভোট দাতাকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স প্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দা হতে হবে এবং অপ্রকৃতিস্থ নন ও আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন নাই এমন নাগরিক হতে হবে।
গ. আমি মনে করি উদ্দীপকের জনাব ‘A’ নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়।
এ কারণে একজন প্রার্থীকে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন— মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না। দেয়ালে বা অন্য কোথাও কিছু লেখা বা পোস্টার লাগানো যাবে না।
কোনো রাস্তায় বা সড়কে জনসভা করা যাবে না। রশিতে পোস্টার বা প্লাকার্ড ঝোলানো যাবে। প্রচারের জন্য কোনো গেট তৈরি বা আলোকসজ্জা করা যাবে না। মোটর সাইকেল বা কোনো যানবাহনে মিছিল করা যাবে না।
নির্বাচনি ক্যাম্পে ভোটারদের কোনো উপহার- খাদ্য বা পানীয় পরিবেশন করা যাবে না। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকের জনাব ‘A’ উপরোক্ত নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলবেন।
জনাব ‘A’ -এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নিয়ম বিশ্লেষণ ।
ঘ. উদ্দীপকের জনাব ‘A’ কতগুলো শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। নির্বাচনে নাগরিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একটি রাজনৈতিক অধিকার।
কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নাগরিককে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন- যেকোনো ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত যেকোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা নির্দলীয় হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীকে নির্দিষ্ট বয়সের অধিকারী হতে হবে(কমপক্ষে ২৫ বছর)। রাষ্ট্রকর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত ও অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ।
এবং সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের জনাব ‘A’ উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন৩ :
ইকবাল হোসেন টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সংসদে গিয়ে জনগণের দাবি তুলে ধরেন। এলাকায় গিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন।
ক. আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি কী?
খ. প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে কী বোঝ?
গ. ইকবাল হোসেন যে পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইকবাল হোসেন যে পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছেন সেই পদ্ধতিতে সংসদে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যগণ নির্বাচিত হন না- এ বিষয়ে তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : আবীর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান করে। খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সে ভোট কেন্দ্রে যায় এবং
লাইনে দাঁড়ায়। তারপর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট প্রদানের জন্য গোপন কক্ষে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়।
ক. ভোটাধিকার কীরূপ অধিকার?
খ. উপনির্বাচন বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে আবীরের ভোটদান পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কী কী যোগ্যতা থাকায় আবীর ভোটাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে? আলোচনা কর।