অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি (অনলাইনে আয় করার ৮টি সহজ উপায়)

হ্যালো! সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি অনলাইন ইনকাম পদ্ধতির আজকের এই আর্টিকেলে। আপনারা সবাই জানেন বর্তমানে এই ভার্চুয়াল জগত মানুষের অর্থ আয়ের একটি বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশ সহ সারা পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা বাড়ছে, এতে করে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হোন কিংবা পেশাজীবী মানুষ তাহলে অনলাইন ইনকাম (Online Income) হতে পারে আপনার জন্য বাড়তি আয়ের একটি সুযোগ। আমাদের চারিপাশে প্রচুর মানুষ এভাবে অনলাইনে টাকা আয় করছে। চাইলে আপনিও অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন ইনকামের এমন ৮টি পদ্ধতি নিয়ে কথা বলবো। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি
এখানে আমরা অনালাইনে আয় করার ৮টি উপায় সম্পর্কে কথা বলবো যেগুলো বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদাপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে কাজ করতে আপনার কম্পিউটার প্রয়োজন হবে এবং কয়েকটি মোবাইলেও করতে পারবেন তবে কম্পিউটার থাকলে অনেক সহজ হবে ও কিছু সুবিধাও পাবেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় <h1>
১. ইউটিউব থেকে আয়
২. অনলাইন শিক্ষকতা
৩. ব্লগিং করে যায়
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৫. প্রোডাক্ট রিসেলিং
৬. আর্টিকেল রাইটিং
৭. ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
৮. সোশ্যাল মিডিয়া মডারেটর
১. ইউটিউব থেকে আয়
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। দিনে দিনে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা আরো বাড়ছে। আর সেই সাথে প্রচুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। আপনার হাতে যদি একটি ভালো ক্যামেরা ওয়ালা স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি সহজেই ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ইউটিউবের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে ভালো মানের কম্পিউটার থাকা বাধ্যতামূলক না। বরং একটি ভালো ক্যামেরাওয়ালা ও কনফিগারেশনের স্মার্টফোন যেটা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড ও এডিট করা যাবে এরকম একটা ফোন থাকলেই হয়। ইউটিউবে বেশ কয়েক ধরনের ভিডিওর চাহিদা বেশি। সেগুলো হলোঃ
- গেমপ্লে
- ফানি ভিডিও
- ইনফরমেটিভ ভিডিও
- মোটিভেশনাল ভিডিও
- গ্যাজেট রিভিউ
- টেকনলোজি রিলেটেড
- ক্রাফট ওয়ার্ক ভিডিও
- রেসিপির ভিডিও
উপরের এই ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানালে আপনি দ্রুত ইউটিউবে সফলতা পাবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। প্রথম কয়েকদিন বেশ উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করে কয়েকদিন পরে হাল ছেলে দিলে সফলতা পাবেন না। ইউটিউবিং হলো অন্যতম জনপ্রিয় ও কার্যকরী অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি।

২. অনলাইন শিক্ষকতা
এই গেলো করোনা মহামারীতে যখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো ঠিক তখন থেকেই আমরা অনলাইন শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা বেশ ভালোভাবে অনুভব করতে পারছি। আপনি যদি কোনো একাডেমিক বিষয়ে বেশ ভালো পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং শিক্ষকতা করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য ভালো উপায় হতে পারে অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর।
ইউটিউব ও ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে সেটাকে মনিটাইজ করে আয় করতে পারেন আবার বিষয়ভিত্তিক পেইড কোর্স বিক্রি করেও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে এই ধরনের পেইড কোর্স ধীরে ধীরে মানুষের কাছে
জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। 10 Minute School, Technique Easy Education, Amar Pathshala, Classroom, Shikho সহ অসংখ্য অনলাইন কোচিং সেন্টার রয়েছে আমাদের দেশে যারা ফ্রিতে ভিডিও লেকচার দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেইড কোর্স অফার করে থাকে।
আপনি যদি নিজে কোনো প্রতিষ্ঠান গরে তুলতে না চান তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানেও অনলাইন শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সুযোগ পাবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো স্কিলড, ক্যামেরার সামনে কথা বলা সহ কয়েকটি গুন অর্জন করতে হবে। তাহলে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে আপনি অনেক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ পাবেন।
আরো শিখুন করে কিভাবে আয় করা যায়
৩. ব্লগিং করে যায়
ব্লগিং হলো বর্তমান ইন্টারনেট দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা। অনেকে সখের বসে এবং বাড়তি আয়ের সুযোগ হিসবেও ব্লগিং কিরে থাকে। নিজস্ব বা অন্যের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখালেখি করাকে ব্লগিং
বলে। এটা মোবাইলেও করা সম্ভব। এজন্য আপনাকে কোনো রকেট সায়েন্স জানার দরকার নেই।
চাইলে নিজে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটাকে মনিটাইজ করে আয় করতে পারে। এজন্য বিডিন্ন অ্যাড নেটয়ার্ক রয়েছে। কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাড নেটওয়ার্ক হলোঃ
- অ্যাডসেন্স
- ইজোয়িক
- এ-অ্যাডস
- মিডিয়া ডট নেট ইত্যাদি
আর ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনাকে কোডিং জানা লাগবে না, এমনকি ভারি কনফিগারেশনের কোনো কম্পিউটারও লাগবে না। ব্লগার ডট কমে ফ্রিতেই ওয়েবসাইট বানানো যায়, আর সেটা মোবাইল দিয়েও সম্ভব। তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট হোন কিংবা বাড়তি আয়ের জন্য অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগিং একটা সম্ভাবনাময় উপায় হতে পারে।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে আয় করার একটি অন্যতম ভালো উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কমিশনের বিনিময়ে কারো প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। ওয়েবসাইটটি অবশ্যই বেশ জনপ্রিয় হতে হবে যাতে প্রতিদিন ভালো অ্যামাউন্টের ট্রাফিক আসে সাইটে।
আর যদি নিজের কোনো ওয়েবসাইট না থাকে তারপরেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। সেটা হলো ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে। ফেসবুকে একটা বড় গ্রুপ বা জনপ্রিয় ফেসবুক পেইজ
থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটগুলো তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেমনঃ অ্যামাজন, দারাজ বাংলাদেশ, আলি এক্সপ্রেস, প্রিয়শপ, বিডি শপ ইত্যাদি।
ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজে প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করলে আর সেখান থেকে কেউ প্রোডাক্টটি কিনলে আপনি একটা কমিশন পাবেন। কমিশনের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমনঃ
থিম, প্লাগিন, সার্ভিস ইত্যাদিতে কমিশনের পরিমান বেশি থাকে (১০%-৫০%) এবং ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট যেমনঃ টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল, ড্রেস ইত্যাদি কমিশনের পরিমান তুলনামূলক কম থাকে (৩%-১৫%)।
৫. প্রোডাক্ট রিসেলিং
প্রোডাক্ট রিসেলিং হলো কোনো কোম্পানির হয়ে তাদের প্রোডাক্টের জন্য কাস্টমার ম্যানেজ করে দেওয়া। ধরুন, একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে আর তারা বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য আপনাকে সহ কয়েকজনকে রিসেলার হিসেবে
নিয়োগ দিলো। এখন আপনার কাজ হলো তাদের ওয়েবসাইট থেকে পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট বেছে নিয়ে সেটার জন্য কাস্টমার ম্যানেজ করা। যদি তাদের ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টির দাম থাকে ৫০০ টাকা তাহলে আপনি ৫০০ টাকার চেয়ে যতটা বেশি টাকায় প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন ততটা আপনার মুনাফা।
প্রোডাক্ট রসেলিং এর জন্য আপনাকে শুধু কাস্টমার ম্যানেজ করে তাদের কন্টাক্ট নম্বর সহ ঠিকানা নিয়ে কোম্পানিকে দিলে সেই কোম্পানিই কাস্টমারকে প্রোডাক্ট পৌছে দেবে। এজন্য আপনাকে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। ডেলিভারি কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে মুনাফার টাকা জমা হয়ে যাবে।
বাংলাদেশে কয়েকটা প্রোডাক্ট রিসেলিং কোম্পানি হলোঃ
- শপ আপ
- রিসেলার হাব
- উদ্যোম
- বায়োমো
- বি বাজার ইত্যাদি
প্রোডাক্ট রিসেলিং হলো অনলাইনে আয় করার একটি অন্যতম সহজ উপায়। এখানে আপনাকে কোনো প্রকার ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই, অর্থাৎ বিনা বিনিয়োগে ব্যবসায় করার সুযোগ পাচ্ছেন আপনি।
৬. আর্টিকেল রাইটিং
অনলাইন ইনকামের সহজ ও কার্যকরী একটি পদ্ধতি হলো আর্টিকেল রাইটিং। তবে এটা সবার জন্য সহজ না। যারা একটু ক্রিয়েটিভ এবং লেখালেখিতে পারদর্শী তাদের জন্য এটা উত্তম। খুব দ্রুত ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি আর সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট রাইটারদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কন্টেন্ট রাইটিং করতে কম্পিউটার থাকা বাধ্যতামূলক না তবে আপনি যদি বেশি সুযোগ-সুবিধা ও ঝামেলাবিহীন আর্টিকেল রাইটিং করতে চান তাহলে একটা পিসি দরকার। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে অনেক রিসোর্স ও টিউটোরিয়াল আছে যেগুলো আপনাকে রাইটার হতে সাহায্য করবে। ক্লায়েন্টের জন্য নিয়মিত আর্টিকেল রাইটিং করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়।
অনেকে এটাকে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আপনিও চাইলে একজন প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন, এজন্য আপনাকে পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হবে এটার পেছনে। ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার,
পিপল পার আওয়ার সহ অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস আছে যেখানে এই ধরনের আর্টিকেল রাইটার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া আপনি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ক্লায়েন্ট পাবেন।
৭. ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
ফেসবুক গ্রুপ থেকে সরাসরি টাকা ইনকাম করা না গেলেও কয়েকটি টেকনিকে আয় করা যায়। এজন্য আপনাকে একটা বড় অ্যাক্টিভ গ্রুপ তৈরি করতে হবে, যেটা প্রোডাক্ট বাই-সেল টাইপের হবে। সেখানে অবশ্যই ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকবে। যখন গ্রুপটা বেশ বড় হবে তখন এখানে আপনি সেলারদের জন্য চার্জ করতে পারেন। বিষয়টা আমি বুঝিয়ে বলছি-
ধরুন আপনার গ্রুপে ২০ হাজার অ্যাক্টিভ মেম্বার আছেন। যেখানে কয়েকজন সেলার ও অধিকাংশ বায়ার যুক্ত। আপনি যদি সেলারদের জন্য নিয়ম করে দেন যে, প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ফি দিতে হবে গ্রুপে সেল পোস্ট করার জন্য। এবং সেলারের সততা ও পারফরম্যান্স অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন ট্যাগ দিতে পারেন।
এমনকি মাঝে মাঝে মাঝে গ্রুপের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অফার ও ডিস্কাউন্টের ব্যবস্থা করতে পারেন, এতে করে গ্রুপের ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এটা হলো ফেসবুক থেকে অনলাইনে আয় করার অন্যতম একটা পদ্ধতি।
৮. সোশ্যাল মিডিয়া মডারেটর
অনালাইনে মানুষের অ্যাক্টিভিটি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মডারেটরদের চাহিদাও ততটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে। তারা ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে প্রতিদিন
হাজার হাজার ক্রেতাকে সেবা ও পণ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এসব পেইজে ক্রেতারদের নানারকম জিজ্ঞাসার উত্তর ও সাহায্য করতে প্রয়োজন হয় সোশ্যাল মিডিয়া মডারেটর।
যারা এই কাজ করেন তারা সাধারনত পেইজের হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, পণ্যের বিবরণ, অর্ডার গ্রহণ ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করে থাকে। আপনি যদি অনলাইনে খুব বেশি অ্যাক্টিভ হোন তাহলে এটার আপনার জন্য অনলাইনে টাকা
আয়ের ভালো উপায় হতে পারে। এখানে আপনাকে কোনো প্রকার ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়ছে না। আপনি ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, মেসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে শুধু ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এজন আপনার কম্পিউটার থাকা বাধ্যতামূলক না।
সর্বশেষ কথা
অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় আছে। আপনি ইন্টারনেটে এরকম অনেক ভিডিও, আর্টিকেল পড়েছেন যেখানে ভিডিও অ্যাড দেখে ইনকাম, গেম খেলে ইনকাম সহ এইধরনের টপিক নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ঐগুলো দীর্ঘমেয়াদি কোনো আয়ের উপায় হতে পারে না। আর অ্যাড দেখে আয়, গেম খেলে আয় এইধরনের কাজে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি যদি সত্যি অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে চান তাহলে আপনাকে কোনো না কোনো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অদক্ষ্য কাজে বেশিদিন সফলতা পাওয়া যায় না। আপনি যদি উপরের কোনো একটা কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না। পরিশেষে বলবো, প্রতারণা থেকে দূরে থাকুন এবং দক্ষতা অর্জন করুন। “First Learn, Then Earn.”